শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, ৮ নভেম্বর, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানীমুখি টমটম (ইজিবাইক) থেকে গণহারে চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কলাতলি মোড়ে এদৃশ্য চোখে পড়ার মতো। চাঁদা আদায়ের ঘটনা নিয়ে টমটম চালকদের মারধর ও পর্যটক নাজেহালও হচ্ছে এখানে। এধরনের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন পৌর টমটম চালক-মালিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগে জানা গেছে, কলাতলি মোড়ে ইতোপূর্বে সিএনজি থেকে চাঁদাবাজির ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায়। কিছু দিন যেতে না যেতে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেছে আরেকটি সিন্ডিকেট।
কক্সবাজার শহর ও কলাতলি থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক টমটম (ইজিবাইক) যোগে পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানীতে যাতায়ত করেন।
কলাতলি মোড় থেকে সড়ক দিয়ে ইনানী যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মুবিন, সোহেল,আব্দু সালাম ভেট্টুর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কলাতলি মোড়ে পর্যটকবাহি টমটম থামিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। এই টাকা আদায় করছেন মোহাম্মদ আলী প্রকাশ সোনা মিয়া নামে এক ব্যাক্তি। পর্যটনস্পট অভিমুখি পর্যটকবাহি এসব টমটম থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত গেলে প্রতি টমটম ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতিটি টমটম বড়ছড়া পর্যন্ত ২০ টাকা আর ইনানী পর্যন্ত গেলে ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন এই সিন্ডেকেট। চাঁদা উত্তোলনকারীরা টমটম চালকেদের বলে বেড়ান, সমিতির জন্য সারা দিনে উক্ত হারে টাকা পরিশোধ করতে হয় তাদের।
কয়েকজন চালক জানান, চাঁদাবাজ চক্রের দাবীকৃত টাকা না দিলে মারধর ও নাজেহাল করা হয়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পত্তি আনোয়ার সাদেক জানান, টমটম যোগে দরিয়ানগর যাওয়ার সময় কলাতলি মোড় নামক স্থানে টমটম থামিয়ে জোর করে চাঁদা আদায়ের চেষ্ঠা করেন। এঘটনার প্রতিবাদ করায় চক্রের সদস্যরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
তারা আরো জানান, এদের মতো প্রতিনিয়ত পর্যটকরা চাঁদাবাজদের হাতে নিগৃত ও নাজেহাল হচ্ছে।
কক্সবাজার পৌর টমটম চালক-মালিক ঐক্য পরিষদ সভাপতি নাজেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকবাহি টমটম থেকে চাঁদা আদায় ও পর্যটক নাজেহালের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক। এধরনের ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।
এবিষয়ে আব্দু সালাম ভেট্টু জানান, টমটম থেকে কোন চাঁদাবাজি করা হচ্ছে না। কেউ তাদের নামে চাঁদা আদায় করে থাকলে এটি তারা জানে না।
কক্সবাজার শহর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শাখার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিকে পাল বলেন, কেউ এধরনের অনিয়ম করে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: